শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

জন্মদিন নিয়ে এলোমেলো কিছু কথা।




এক।

আমি যখন আমার পেছনে তাকাই, তখন দিন, মাস, বছর পেরিয়ে চলে যাই সেই অতীতে, যেখানে আমার শুরু। আমার মুখের ভাঙ্গা, ভাঙ্গা কথা আর একটু হাসিতে তৃপ্ত হত সবাই। আমাকে নিয়ে কতই না স্বপ্নের জন্ম হয়েছিল তখন!

দুই।

আজ শৈশব, কৈশর আর অনেকটা সময় পেছনে ফেলে যৌবনে আমি। জীবন চলার বাঁকে জন্মদিয়েছি কত রূপকথা, ছোট বড় গল্প আর নাটক। ছোট্ট একটা জীবনে কত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছি।! এই পৃথিবীতে এমনি একটি দিনে আমি এসেছিলাম, আজ সেই দিন। সেই জন্য আমি আমার সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে দায়বদ্ধ। তিনি আমায় সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার রব।

তিন।

জন্মানোর তারিখটা মনে হয় সবার কাছেই অনেক প্রিয় হয়। এবং দিনটাকে একান্তই নিজের মনে হয়! আসলে ডাইরির পাতা শেষ তো!

চার।

জন্মদিন মানে জীবন থেকে একটি বছর ঝড়ে যাওয়া। পৃথিবীর থেকে একটি বছর কমে যাওয়া। মৃত্যুর আরো কাছে চলে যাওয়া

পাঁচ।

জগতের লক্ষ কোটি মানুষের এই পথচলায় আমার অতি ক্ষুদ্র আমিটির পৃথিবীতে আগমন বা প্রস্থানে কোন ভাবেই আলাদা কোন গুরুত্ব বহন করে না!

ছয়।

জন্ম দিন পৃথিবীর সবার কাছে শ্রেষ্ঠ একটা দিন। জন্মদিন এমন একটা দিন যে দিনটাকে শুধু নিজের মনে হয়। যদিও এই দিনে পৃথিবীর প্রায় এক কোটি মানুষের জন্মদিন।

সাত।

জন্মদিনে আমরা সাধারণত যার জন্মদিন তাকেই শুধু শুভেচ্ছা জানাই, কিন্তু আমার মতে যাদের কারনে এবং ত্যাগের মাধ্যমে এমন সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি তাদের অর্থাৎ বাবা মাকেও শুভেচ্ছা জানানো উচিত।

আট।

পৃথিবীর অদ্ভুত নিয়ম। এখানে এসেই কাঁদতে হবে। না কাঁদলে অন্যরা কাঁদবে। আমি কেঁদে সবার মুখের হাঁসি এনেছিলাম। বাকি জীবনও নিজে কেঁদে সবাইকে হাঁসি-খুুশি দিয়ে যাবো।

নয়।

এখন আর জন্মদিন আনন্দের মনে হয় না। উইশ আসতে থাকে একের পর এক। আর আমি ভাবি জীবন থেকে আরও একটি বছর হারিয়ে গেলো। বুড়ো হবার সকল উপসর্গ দেখা দিতে থাকে একের পর এক। আর প্রতিবছর আমার জন্মদিন আমাকে মনে করিয়ে দেয়, কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। কবে শেষ আমি তার কিছুই জানি না।

দশ।

জন্ম ব্যাপারটাকে যত খুশির বলে মনে করা হয়, আসলে তা তেমন খুশির নয়। জন্ম হওয়া মানে মৃত্যু ফলে বিজ বোনা। আর মৃত্যুর কথা স্মরণ হলেই মন খারপ হয়ে যায়। এই বুঝি আজরাইল হাজির হইল। খালি ভয়। অবশ্য আল্লাহ ও তার রাসূল (সা) মৃত্যুকে স্মরণ করতে বলেছেন বেশী বেশী। এতে মন নরম হয়। জগতের প্রতি মোহ থাকে না।

এগারো।

আজ থেকে মৃত্যুর এক বছর কাছাকাছি চলে এলাম! জীবনটা অনেক সুন্দর যদি সুন্দর করে দেখা যায়। তবে একথাও ঠিক, বিচিত্র এই জীবনে, বৈচিত্রময় হয়ে ওঠা অনেকটাই কঠিন। যারা হয়ে উঠতে পারে তাদেরকেই মানবজাতি সারাজীবন মনে রাখে। আমার কথা তো কাল সকলেই ভুলে যাবে! তাতে আমার কোন আফসোস নেই, নেই কোন অভিযোগ। আমি সুধু ক্ষমাপ্রার্থী মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে।


    কোন মন্তব্য নেই:

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    কেন তিনি জাতীয় কবি। বিদ্রোহী কবি। সাম্যের কবি।

    কেন তিনি বিদ্রোহী 'কবি? কবি কাজী নজরুল ইসলাম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে পথে নেমেছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কবিতা যুগে যুগে কোটি তরুণকে দ...