কত বড় হারাম ঘটনা ঘটতে চলেছে!
নাউজুবিল্লাহ,আস্তাগফিরুল্লাহ।
ঢাকার শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটটি (ICMH) সরকার, বিভিন্ন এনজিও এর অনুদান এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় দিয়ে চলে। ইনস্টিটিউটটি স্বায়ত্তশাসন অধিকারও ভোগ করে।
সম্প্রতি তারা 'হিউমেন মিল্কব্যাংক' চালু করেছে। যাদের সন্তান মারা গেছে বা সন্তানকে খাওয়ানোর পরও যেসব মায়েদের বুকের দুধ অতিরিক্ত আছে তারা চাইলে সেই মিল্ক ব্যাংকে তা দান করতে পারবে। আর যাদের প্রয়োজন তারা সেখান থেকে তা নিতে পারবে।
বিস্তারিত এই লিংকে দেখুন
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1350091818486220&id=308272919334787
দেশে এই ধরনের বিষয় এটাই প্রথম। জ্ঞাত তথ্যানুসারে মুসলিম বিশ্বের কোথাও এ ধরনের কোনও মিল্কব্যাংক নেই। ওআইসি এর ইসলামি ধর্মীয় বিধান বিষয়ক বোর্ড ‘মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী’ (International Islamic jurist of OIC) মিল্কব্যাংককে হারাম ঘোষণা করেছে।
ইসলামি শরীয়াতের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। মিল্কব্যাংক এই পদ্ধতিকে ধ্বংস করবে। বহু অজানা দুধ ভাই বোন হবে। যাদের মধ্যে বিয়ে হারাম। অথচ অজ্ঞাতেই বহু হারাম বিবাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
ফলত তাঁরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে মিল্কব্যাংককে হারাম বলেছেন।
১। মিল্কব্যাংকে দুধ দান করা।
২। মিল্কব্যাংক থেকে দুধ পান করানো।
৩। মিল্কব্যাংক স্থাপন।
এই সবকটিই হারাম। আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন,
'তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ (বিয়ের জন্য)… তোমাদের দুধ মাতা, দুধ বোন।'- সূরা নিসা ২৩
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
'রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে যেসব স্বজনেরা (বিয়ের জন্য) হারাম তদ্রূপ দুধপানের সম্পর্কের ভিত্তিতেও তারা হারাম।' (বুখারী, মুসলিম)
এর উপরই উম্মতের ইজমা। সুতরাং মিল্কব্যাংক গড়ে তোলার মত অনৈসলামিক, ঈমান বিধ্বংসী কোনও প্রজেক্ট মেনে নেওয়া যায় না৷
গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে 'বেসরকারি অনুদানে' এবং ইন্সটিটিউটের নিজস্ব উদ্যোগে এই মিল্কব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বাকি।
সেই 'বেসরকারি অনুদানের' উৎসটা তারা জানায় নি। সেই উৎসটা জানা গেলে আরেকটু খোলাসা হওয়া যেত এই আপাত 'মহৎকর্মের' আড়ালে ইসলামী বিধানের বিরুদ্ধে এতবড়ো পদক্ষেপ ঠিক কাদের সহায়তায় শুরু।
অবশ্যই এর বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। এর বিরুদ্ধে নিজের ঈমানী তাকিদেই আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে। ইসলামি বিধানের এইরকম অপনোদনের শুরু বাংলাদেশে থেকে হতে দেওয়া যায় না।
আমার সবিনয় আর্জি, সরকার যেন অবিলম্বে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে। কালবিলম্ব না করেই এটা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এই ধরনের পদক্ষেপ রুখতে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
কোন এনজিও এই অর্থায়ন করেছে তাও জাতির কাছে খোলাসা করতে হবে। ওআইসির ফিকহি বোর্ড এটাকে নিষিদ্ধ করার পরও এ ধরনের উদ্যোগ সন্দেহজনক। ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষকেও 'মহৎ' হওয়ার আড়ালে এই ধরনের হীন কীর্তির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
নাউজুবিল্লাহ,আস্তাগফিরুল্লাহ।
ঢাকার শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটটি (ICMH) সরকার, বিভিন্ন এনজিও এর অনুদান এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় দিয়ে চলে। ইনস্টিটিউটটি স্বায়ত্তশাসন অধিকারও ভোগ করে।
সম্প্রতি তারা 'হিউমেন মিল্কব্যাংক' চালু করেছে। যাদের সন্তান মারা গেছে বা সন্তানকে খাওয়ানোর পরও যেসব মায়েদের বুকের দুধ অতিরিক্ত আছে তারা চাইলে সেই মিল্ক ব্যাংকে তা দান করতে পারবে। আর যাদের প্রয়োজন তারা সেখান থেকে তা নিতে পারবে।
বিস্তারিত এই লিংকে দেখুন
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1350091818486220&id=308272919334787
দেশে এই ধরনের বিষয় এটাই প্রথম। জ্ঞাত তথ্যানুসারে মুসলিম বিশ্বের কোথাও এ ধরনের কোনও মিল্কব্যাংক নেই। ওআইসি এর ইসলামি ধর্মীয় বিধান বিষয়ক বোর্ড ‘মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী’ (International Islamic jurist of OIC) মিল্কব্যাংককে হারাম ঘোষণা করেছে।
ইসলামি শরীয়াতের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। মিল্কব্যাংক এই পদ্ধতিকে ধ্বংস করবে। বহু অজানা দুধ ভাই বোন হবে। যাদের মধ্যে বিয়ে হারাম। অথচ অজ্ঞাতেই বহু হারাম বিবাহ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
ফলত তাঁরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে মিল্কব্যাংককে হারাম বলেছেন।
১। মিল্কব্যাংকে দুধ দান করা।
২। মিল্কব্যাংক থেকে দুধ পান করানো।
৩। মিল্কব্যাংক স্থাপন।
এই সবকটিই হারাম। আল্লাহ কোরআনে স্পষ্ট করে বলেছেন,
'তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ (বিয়ের জন্য)… তোমাদের দুধ মাতা, দুধ বোন।'- সূরা নিসা ২৩
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
'রক্তের সম্পর্কের ভিত্তিতে যেসব স্বজনেরা (বিয়ের জন্য) হারাম তদ্রূপ দুধপানের সম্পর্কের ভিত্তিতেও তারা হারাম।' (বুখারী, মুসলিম)
এর উপরই উম্মতের ইজমা। সুতরাং মিল্কব্যাংক গড়ে তোলার মত অনৈসলামিক, ঈমান বিধ্বংসী কোনও প্রজেক্ট মেনে নেওয়া যায় না৷
গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে 'বেসরকারি অনুদানে' এবং ইন্সটিটিউটের নিজস্ব উদ্যোগে এই মিল্কব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বাকি।
সেই 'বেসরকারি অনুদানের' উৎসটা তারা জানায় নি। সেই উৎসটা জানা গেলে আরেকটু খোলাসা হওয়া যেত এই আপাত 'মহৎকর্মের' আড়ালে ইসলামী বিধানের বিরুদ্ধে এতবড়ো পদক্ষেপ ঠিক কাদের সহায়তায় শুরু।
অবশ্যই এর বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। এর বিরুদ্ধে নিজের ঈমানী তাকিদেই আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে। ইসলামি বিধানের এইরকম অপনোদনের শুরু বাংলাদেশে থেকে হতে দেওয়া যায় না।
আমার সবিনয় আর্জি, সরকার যেন অবিলম্বে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে। কালবিলম্ব না করেই এটা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এই ধরনের পদক্ষেপ রুখতে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
কোন এনজিও এই অর্থায়ন করেছে তাও জাতির কাছে খোলাসা করতে হবে। ওআইসির ফিকহি বোর্ড এটাকে নিষিদ্ধ করার পরও এ ধরনের উদ্যোগ সন্দেহজনক। ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষকেও 'মহৎ' হওয়ার আড়ালে এই ধরনের হীন কীর্তির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন