ঈমানী ভ্রাতৃত্বের রয়েছে অনেক দাবি।...
অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, দীনি-দুনিয়াবি মতভেদের ক্ষেত্রে একে অপরকে উপহাস ও তাচ্ছিল্য করা, গীবত করা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, কুধারণা পোষণ করা, কটূক্তি করা খারাপ নামে বা মন্দ উপাধিতে ডাকা─ এসব বিষয়ের চর্চা হতে থাকে। লোকেরা যেন ভুলেই যায় (আমি বলি আলেমরাও তো বেমালুম ভুলে যায়) যে, কুরআন মজীদে এ বিষয়গুলোকে হারাম করা হয়েছে। প্রত্যেকের আচরণ থেকে মনে হয়, প্রতিপক্ষের ইজ্জত-আব্রু নষ্ট করা হালাল! মতভেদের কারণে তার কোনো ঈমানি অধিকার অবশিষ্ট নেই।
অথচ এ তো শুধু মুমিনের হক নয়, সাধারণ অবস্থায় মানুষমাত্রেরই হক। একজন মানুষ অপর একজন মানুষের কাছে এই নিরাপত্তাটুকু পাওয়ার অধিকার রাখে। এমনকি যদি সে মুসলিমও না হয়।
হায়! বিরোধ ও মতভেদের ক্ষেত্রে যদি আমরা প্রতিপক্ষকে অন্তত একজন মানুষ মনে করে তার গীবত শেকায়েত থেকে, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া থেকে, উপহাস বিদ্রূপ করা থেকে এবং মন্দ নামে ডাকা থেকে বিরত থাকতাম! আল্লাহর রাসূলের সুন্নাহয় তো জীবজন্তু, এমনকি জড় বস্তুরও হক বর্ণিত হয়েছে। তো মতভেদকারী আর কিছু না হোক একজন প্রাণি তো বটে!!...
হাদীসে যে হকগুলো বলা হয়েছে তা মুসলমানদের সাধারণ হক। তা পাওয়ার জন্য মুমিন ও মুসলিম হওয়া ছাড়া আর কোনো শর্ত নেই। সুতরাং দুজন মুসলিমের মাঝে বা দুইদল মুসলমানের মাঝে কোনো দীনি বা দুনিয়াবি বিষয়ে মতভেদ হলে সেখানেও এসব হক রক্ষা করতে হবে এবং শরীআতের এসব বিধান মেনে চলতে হবে।
কোনো হাদীসে বলা হয় নি যে, দুই মুসলিমের মাঝে মতভেদ হলে তখন আর এসব হক রক্ষা করতে হবে না। বরং সেটিই তো আসল ক্ষেত্র হকগুলো রক্ষা করার। সাধারণত মতপার্থক্য দেখা দিলেই এ হকগুলো বিনষ্ট করা হয়। সুতরাং ওই ক্ষেত্রেই যদি সকলে তা রক্ষায় সতর্ক না হয় তাহলে আর সুন্নাহর অনুসরণ ও হাদীস মোতাবেক আমলের কী অর্থ থাকে?
───────────────
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক, উম্মাহর ঐক্য পথ ও পন্থা, পৃ. ২৩ ও ৩০।
অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, দীনি-দুনিয়াবি মতভেদের ক্ষেত্রে একে অপরকে উপহাস ও তাচ্ছিল্য করা, গীবত করা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া, কুধারণা পোষণ করা, কটূক্তি করা খারাপ নামে বা মন্দ উপাধিতে ডাকা─ এসব বিষয়ের চর্চা হতে থাকে। লোকেরা যেন ভুলেই যায় (আমি বলি আলেমরাও তো বেমালুম ভুলে যায়) যে, কুরআন মজীদে এ বিষয়গুলোকে হারাম করা হয়েছে। প্রত্যেকের আচরণ থেকে মনে হয়, প্রতিপক্ষের ইজ্জত-আব্রু নষ্ট করা হালাল! মতভেদের কারণে তার কোনো ঈমানি অধিকার অবশিষ্ট নেই।
অথচ এ তো শুধু মুমিনের হক নয়, সাধারণ অবস্থায় মানুষমাত্রেরই হক। একজন মানুষ অপর একজন মানুষের কাছে এই নিরাপত্তাটুকু পাওয়ার অধিকার রাখে। এমনকি যদি সে মুসলিমও না হয়।
হায়! বিরোধ ও মতভেদের ক্ষেত্রে যদি আমরা প্রতিপক্ষকে অন্তত একজন মানুষ মনে করে তার গীবত শেকায়েত থেকে, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া থেকে, উপহাস বিদ্রূপ করা থেকে এবং মন্দ নামে ডাকা থেকে বিরত থাকতাম! আল্লাহর রাসূলের সুন্নাহয় তো জীবজন্তু, এমনকি জড় বস্তুরও হক বর্ণিত হয়েছে। তো মতভেদকারী আর কিছু না হোক একজন প্রাণি তো বটে!!...
হাদীসে যে হকগুলো বলা হয়েছে তা মুসলমানদের সাধারণ হক। তা পাওয়ার জন্য মুমিন ও মুসলিম হওয়া ছাড়া আর কোনো শর্ত নেই। সুতরাং দুজন মুসলিমের মাঝে বা দুইদল মুসলমানের মাঝে কোনো দীনি বা দুনিয়াবি বিষয়ে মতভেদ হলে সেখানেও এসব হক রক্ষা করতে হবে এবং শরীআতের এসব বিধান মেনে চলতে হবে।
কোনো হাদীসে বলা হয় নি যে, দুই মুসলিমের মাঝে মতভেদ হলে তখন আর এসব হক রক্ষা করতে হবে না। বরং সেটিই তো আসল ক্ষেত্র হকগুলো রক্ষা করার। সাধারণত মতপার্থক্য দেখা দিলেই এ হকগুলো বিনষ্ট করা হয়। সুতরাং ওই ক্ষেত্রেই যদি সকলে তা রক্ষায় সতর্ক না হয় তাহলে আর সুন্নাহর অনুসরণ ও হাদীস মোতাবেক আমলের কী অর্থ থাকে?
───────────────
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক, উম্মাহর ঐক্য পথ ও পন্থা, পৃ. ২৩ ও ৩০।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন